সরিষায় দেখছেন কৃষক রঙিন স্বপ্ন

চট্রগ্রাম সন্দ্বীপ প্রতিনিধি:

হলুদ সরিষা যেন প্রাকৃতির অলঙ্কার।
প্রকৃতির অলঙ্কার হয়ে উঠেছে হলুদ সরিষা ফুল।
নীল আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুল। সকালের সূর্যের কিরণ প্রতিফলিত হবার সঙ্গে সঙ্গেই সরিষা ফুলের সমারোহে হেসে ওঠে চারদিক।
মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌ মাছিরা। পড়ন্ত বিকেলের মিষ্টি রোদে সরিষা ফুলগুলো বাতাসে দোল খেতে থাকে।
ফুলগুলোর তাদের কলি ভেদ করে সুভাস ছড়িয়ে দিচ্ছে চারদিকে। এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলা ভূমি।
সরেজমিন সরিষা জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সরিষা মাঠ জুড়ে ভিড় করছেন বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিনোদন প্রেমিরা। সরিষা মাঠ ঘুরে ঘুরে দেখছেন।
কেউবা আবার মোবাইলফোনে সেলফি তুলছেন।
সন্দ্বীপ হারামিয়া ইউনিয়ন ০৩ নং ওয়ার্ডের কৃষক সোহরাব হোসেন এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় মোহাম্মদ কাজী নজরুল ইসলাম উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এর পরামর্শে চল্লিশ শত
জমিতে সরিষার চাষ করি। অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা সেচ,নিড়ানি, মাড়াই ও বীজ খরচ অনেক কম।রোগবালাইয়ে তেমন আক্রমণ নেই। সরিষা চাষ করে আমার খরচ হয়েছে
তিন হাজার দুই শত টাকা। আশাকরি ৫ মণ ফলন পাব।প্রতি মণ সরিষা তিন হাজার টাকা দরে বিক্রি করলে পনের হাজার টাকার সরিষা বিক্রি করতে পারবো।স্বল্প সময়ে অল্প খরচে অধিক লাভ।এক সময় উপজেলায় ব্যাপক পরিমাণে সরিষার আবাদ হতো। সয়াবিনের ওপর নির্ভরতা বাড়ায় বর্তমানে অনেকটাই কমে গেছে সরিষার আবাদ। তবুও ধান চাষের পাশাপাশি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সরিষার চাষ হয়ে থাকে।

Related posts

Leave a Comment